কখনই হতাশ হওয়া যাবেনা

আমি তোমাদের আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হতাশা নিয়ে কিছু কথা বলব :
কারণ আমি নিজেও এই সমস্যায় আক্রান্ত ছিলাম। শুরুতেই বলি- তোমরা কেউ কি সাফল্যের ভাল কোনো সঙ্গা দিতে পারবে??- 

"সাফল্যের অর্থ ব্যথর্তার অনুপস্থিতি নয়,
এর অর্থ চূড়ান্ত লক্ষ্যের সিদ্ধি।
এর অর্থ যুদ্ধে জয়লাভ, প্রত্যেকটি লড়াইয়ে নয়।"

ধর তুমি একটা পরিক্ষায় খারাপ ফলাফল করছ। এর মানে এই নয় যে তুমি বাকি পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করবা না।কখনই হতাশ হওয়া যাবেনা। ব্যর্থতা জীবনে আসবেই।প্রতিটি সাফল্যবান ব্যক্তির সাফল্যের পিছনে হাজার ও ব্যর্থতা রয়েছে।

একটি পরিক্ষায় খারাপ করা মানে একটি লড়াই এ হারা।রবার্ট ব্রুচ কিন্তু ৬ বার হারার পর জয়লাভ করেন।তুমি না হয় ১০০ টি লড়াই এ হেরেছ,তাতে কি হয়েছে??তোমার ফাইনাল গন্তব্য কিন্তু এখন ও সামনে।আবার লেগে পড়। যেখানে আছ সেইখান থেকে যুদ্ধে নেমে পড়। ব্যথর্তা বা হতাশা আসবেই জীবনে।তাই বলে কি তুমি আর সামনে যাবে না??

জীবন পুষ্পশয্য নয়।যুদ্ধে কখনই পিছু হতে নেই।পিছু ত হয় কাপুরুষরা।হয় জয়ী হবা না হয় মারা যাবা। কিন্তু কখনই পিছু হওয়া যাবে না।
অর্থাৎ তোমার সময়টাকে কাজে লাগাও।যত খারাপ এ হওক না কেন।আজ থেকে লেগে পড়। আমার বিশ্বাস তুমি তোমার লক্ষ্যে পৌছবা-ই,যদি তুমি তোমার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাও।

কেউ যদি জিবনে দুইটি দিনের সার্থকতা  খুঁজে পায়,তাহলে তার জীবন সার্থক -
১)তুমি যেদিন জন্মগ্রহণ করেছো।
২)তুমি কেন জন্মগ্রহণ করেছো?? 

এটার উত্তর মানে- তুমি যে কাজের জন্য জন্মগ্রহণ করেছো,সেটা যদি করতে পারো, তাহলে তুমি আর পরাজিত না।অর্থাৎ তোমার জীবন সার্থক।

যদি মনে হয় দিন দিন হতাশা বাড়ছে , তাহলে বুঝতে হবে তুমি আসল কাজটা না করে সময় নষ্ট করছ। হতাশার প্রধান কারন কিছু না করে সময় নষ্ট করা।
সব কিছুর সমাধান পরিশ্রম। আজকে পরিশ্রম করো মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। পরিশ্রম করো আত্মবিশ্বাস বাড়বে। মানুষ ধীরে ধীরে উপরে উঠে, এক মুহূর্তেই নয়।

যেদিন থেকে তুমি তোমাকে বিশ্বাস করা শুরু করবে, সেদিন থেকে সারা বিশ্ব তোমাকে বিশ্বাস করা শুরু করবে।

No comments

Powered by Blogger.