মেঘের রাজ্যের অন্য নাম সাজেক
ভ্রমণ প্রিয় মানুষ আমি, অথচ ভ্রমণ করার সময় ই পাই না।এই বছর থেকে প্রতি বছর একটি করে ভ্রমণ করার ইচ্ছা পোষণ করলাম।সবুজ পাহাড় আর মেঘের ভেলা দেখতে নাকি বর্ষাকাল ই সেরা সময়।পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ যখন উপরের দিকে উঠতে থাকে তখন এই কথার সত্যতা আরও স্পষ্ট হয়।
তাই এই বছর সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা শেষ করার পর দিন ই তাই ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন বন্ধু মিলে সাজেক যাওয়ার প্ল্যান বাস্তবে রূপান্তর করলাম।
এটি একটি সাহসিক(adventure) ভ্রমণ।
আমরা ১৪ জন একসাথে বের হয়েছিলাম।রাতের বাসে ঢাকা থেকে ০৯:৪৫ এ রওনা শুরু করে খাগড়াছড়ি পৌছালাম ভোর ০৪:৪৫ এ। রাত ০১:৩০ এর সময় খাবার জন্য বিরতি দিল।
সকালে এসে যখন খাগড়াছড়ি পৌঁছালাম তখন হাল্কা শীত শীত লাগতেছিল।তারপর সকালের খাবার খেলাম খাগড়াছড়ির এক রেস্টুরেন্টে।সেখান থেকে সকাল ০৭:৩০ এ আমরা আমাদের আগের ভাড়া করা জিপগাড়িতে(লোকাল ভাষায় চান্দের গাড়ি) করে আমরা ১ম দিনে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
এইবার আসি সাজেক, খাগড়াছড়িতে আপনে যা যা দেখতে পারবেন:
সাজেক :
সকালে খাগড়াছড়ি থেকে বের হয়ে একদিন সাজেক থেকে আপনে প্রথম ৬ টি স্পট দেখে আসতে পারেন।কিন্তু কমলক ঝর্ণা দেখতে হলে আপনাকে খুব দ্রুত বাকি সব স্পট দেখতে হবে,অথবা নিজেই বেছে নিন কিভাবে গেলে আপনার সুবিদা হবে।
১) রুইলুই পাড়া : যাকে সাজেকের মূল উপত্যকা বলে।
২)রিসোর্ট : এখানকার রিসোর্টগুলো বেশ চমৎকারভাবে সাজানো।তাই আপনে যেকোনো একটি রিসোর্ট ভাড়া করলেও আরও কয়েকটি রিসোর্ট দেখে আসতে পারেন।
ক)ঝাড়ভোজ পিকনিক স্পট
খ)মেঘমাচাং কটেজ
গ)আলো রিসোর্ট
ঘ)সাজেক রিসোর্ট
ঙ)রুন্ময় রিসোর্ট
৩)হ্যালিপাড :
সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্প। এখানে রয়েছে ২টি হ্যালিপাড।হ্যালিপাডগুলো থেকে সাজেকর অনেকটা চিত্র কল্পনা করা যায়। তাই
ক)হ্যালিপাড-১ এ বসে সূর্যাস্ত দেখা।
খ)হ্যালিপাড-২ এ বসে সূর্যোদয় দেখা।
৪)স্টোন গার্ডেন : ২০ টাকা টিকেট জন প্রতি।সাজেক রিসোর্টের পাশেই।
৫)কংলাক পাড়া : সাজেকের শেষ গ্রাম কংলাক পাড়া। কংলাক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায়।যেখান থেকে কর্ণফুলী নদী উৎপন্ন হয়েছে।সকাল বেলা যাওয়া এ ভাল।কংলাক পাড়ায় রয়েছে সুস্বাদু লাল পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা।
৬)সিপ্পু পাহাড় :
কংলাক পাড়া সাজেকের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় সিপ্পু পাহাড়ে অবস্থিত। সিপ্পু পাহাড় সাজেক তো বটেই পুরো রাঙামাটি জেলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। সিপ্পু পাহাড়ের উচ্চতা ২৮০০ ফুট। সিপ্পু পাহাড়ের চূড়া থেকে পুরো সাজেকের ৩৬০ ভিউ পাওয়া যায়।
এখানে আসলেই আপনে পাবেন সাজেকের আসল সৌন্দর্য।
৭)কমলক ঝর্ণা : সাজেকে এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর এই ঝর্নাটি, বুনো রাস্তা আর ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেক খানি তারপর ঝিরিপথ পাবেন, ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে আবার উঠতে হবে কিছুটা, এইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে। ঝিরিপথ টিও অসম্ভব সুন্দর, এডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি।গাইড রুইলুই পাড়া থেকে ঠিক করে নিবেন, ঝর্নার কথা বললেই হবে, ২০০-৪০০ টাকা নিবে।
খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা :
আপনে ১ম ৩/৪ টি স্পট একদিনে দেখতে পারেন।২য় দিন খাগড়াছড়ি/দীঘিনালা থাকলে তৈদুছড়া ঝর্ণা দেখে আসতে পারেন।
১)আলুটিলা ও গুহাঃ আলুটিলা ঢাকা-খাগড়াছড়ি রাস্তার পাশে খাগড়াছড়ি শহরের আগে হাতের
বামে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে যার উচ্চতা ৩০০০ ফুট।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বের সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে
মানুষ এই পাহাড় থেকে বুনো আলু সংগ্রহ করে খেতো। তখন থেকে এর নাম হয় আলুটিলা । আলুটিলা গুহাকে দেবতা গুহাও বলে । গুহার দৈর্ঘ্য ২৫০ ফুট যা পার হতে ১০ মিনিটের মতো সময়
লাগে। গুহায় ঢুকতে জনপ্রতি ১০ টাকার টিকেট লাগবে। আর মশালও পাবেন ১০ টাকায়।টর্চ নিয়ে
যাওয়া ভাল। গুহার ভিতরে ভাল করে দেখে পা ফেলতে হয়।
বামে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে যার উচ্চতা ৩০০০ ফুট।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বের সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে
মানুষ এই পাহাড় থেকে বুনো আলু সংগ্রহ করে খেতো। তখন থেকে এর নাম হয় আলুটিলা । আলুটিলা গুহাকে দেবতা গুহাও বলে । গুহার দৈর্ঘ্য ২৫০ ফুট যা পার হতে ১০ মিনিটের মতো সময়
লাগে। গুহায় ঢুকতে জনপ্রতি ১০ টাকার টিকেট লাগবে। আর মশালও পাবেন ১০ টাকায়।টর্চ নিয়ে
যাওয়া ভাল। গুহার ভিতরে ভাল করে দেখে পা ফেলতে হয়।
২)রিসাংঝর্ণাঃমার্মা ভাষায় রি মানে পানি আর ছাং মানে গড়িয়ে পড়া। রিছাং ঝর্নাকে
তেরাং ঝর্ণা বা তৈকালাই ঝর্ণা নামেও ডাকে। ঝর্ণাটা অনেক সুন্দর। ঝর্ণায় যাওয়ার পথটাও
এডভেঞ্চার পূর্ণ।রিসাংঝর্ণাতে আমরা গেছিলাম ১-১.৫ কিলোমিটার এর মত পায়ে হেঁটে।যদি
কারও হেঁটে যেতে প্রব্লেম হয়, তখন আবার মোটর বাইক এ করে ৩০-৫০ টাকা নিয়ে আপনাকে
ঢালু রাস্তায় নিয়ে যাবে আবার টাকা দিলে নিয়েও আসবে।
তেরাং ঝর্ণা বা তৈকালাই ঝর্ণা নামেও ডাকে। ঝর্ণাটা অনেক সুন্দর। ঝর্ণায় যাওয়ার পথটাও
এডভেঞ্চার পূর্ণ।রিসাংঝর্ণাতে আমরা গেছিলাম ১-১.৫ কিলোমিটার এর মত পায়ে হেঁটে।যদি
কারও হেঁটে যেতে প্রব্লেম হয়, তখন আবার মোটর বাইক এ করে ৩০-৫০ টাকা নিয়ে আপনাকে
ঢালু রাস্তায় নিয়ে যাবে আবার টাকা দিলে নিয়েও আসবে।
৩)অপু ঝর্ণাঃ রিসাং ঝর্ণার রাস্তায় গেলেই পাওয়া যায় অপু ঝর্ণা।শুধুমাত্র রিসাং এর
দিকে না গিয়ে ২০ গজের মত সামনে এসে বাম দিকে তাকালে ১৫ গজ দূরে একটি তেঁতুল
গাছ দেখা যাবে । তেঁতুল গাছের পাশ দিয়ে নিচে ঝিরিতে নেমে ঝিরি ধরে ১৫ মিনিটের মত
বাম দিকে গেলে ঝিরির মাথায় অপু ঝর্ণা পাবেন । বর্ষাকালে দড়ি ছাড়া এ পথে নামাটা
একটু ঝুঁকিপূর্ণ ।
দিকে না গিয়ে ২০ গজের মত সামনে এসে বাম দিকে তাকালে ১৫ গজ দূরে একটি তেঁতুল
গাছ দেখা যাবে । তেঁতুল গাছের পাশ দিয়ে নিচে ঝিরিতে নেমে ঝিরি ধরে ১৫ মিনিটের মত
বাম দিকে গেলে ঝিরির মাথায় অপু ঝর্ণা পাবেন । বর্ষাকালে দড়ি ছাড়া এ পথে নামাটা
একটু ঝুঁকিপূর্ণ ।
৪)হাজা ছড়া/ শুকনো ছড়া ঝর্ণাঃ দীঘিনালা সাজেক রোডের ১০ নং আর্মি ক্যাম্প পার
হয়ে হাতের বামে ১৫ মিনিটের মত হেঁটে গেলে এটি দেখা যাবে ।প্রায় শুকনো থাকে বলে
একে শুকনো ঝর্ণা বলে। যদিও বর্ষাকালে এই ঝর্ণাকে দেখে টা বুঝা যায় না।
হয়ে হাতের বামে ১৫ মিনিটের মত হেঁটে গেলে এটি দেখা যাবে ।প্রায় শুকনো থাকে বলে
একে শুকনো ঝর্ণা বলে। যদিও বর্ষাকালে এই ঝর্ণাকে দেখে টা বুঝা যায় না।
৫)দেবতা পুকুরঃ খাগড়াছড়ি শহর থেকে ১৫ কি.মি. দক্ষিনে ২ একর জমি জুড়ে এর অবস্থান ।
৬)নিউজিল্যান্ডঃ শহর থেকে ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে বসে নিউজিল্যান্ডের সৌন্দর্য্য উপলব্দি করতে
পারবেন।
৭)শতবর্ষী বটগাছ : মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নের ১০ নং মৌজায় এর অবস্থান বলেএকে ১০ নং
বট গাছও বলে ।এই বট গাছের বয়স১০০ বছরের বেশী ।
পারবেন।
৭)শতবর্ষী বটগাছ : মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নের ১০ নং মৌজায় এর অবস্থান বলেএকে ১০ নং
বট গাছও বলে ।এই বট গাছের বয়স১০০ বছরের বেশী ।
৮)দীঘিনালা : দীঘিনালা আর্মি ক্যাম্প পার হয়ে ২০ মিনিটের মত গেলে এটি দেখা যাবে ।
৯)তৈদুছড়া/ শিবছড়ি ঝর্ণা ১ ও ২ : দীঘিনালা বাজার থেকে ২৫ মিনিটের মত গাড়ীতে গিয়ে হেঁটে
নদী পার হয়ে যাওয়া আসা সহ মোট ৬ ঘন্টার ট্রেকিং এ তৈদুছড়া ১ ও ২ ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন ।
এটি মূলত ঝিরি ট্রেইল তাই একটু সাবধানে পা ফেলতে হবে ।১ম ঝর্ণা থেকে ২৫ গজ আগে হাতের
ডানে পাহাড়ে উঠে ২য় ঝর্ণায় যাওয়া যায়।
নদী পার হয়ে যাওয়া আসা সহ মোট ৬ ঘন্টার ট্রেকিং এ তৈদুছড়া ১ ও ২ ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন ।
এটি মূলত ঝিরি ট্রেইল তাই একটু সাবধানে পা ফেলতে হবে ।১ম ঝর্ণা থেকে ২৫ গজ আগে হাতের
ডানে পাহাড়ে উঠে ২য় ঝর্ণায় যাওয়া যায়।
১০)সিজুক ঝর্ণা ১ ও ২ : দীঘিনালা সাজেক রোডের নন্দরাম গ্রাম থেকে হাতের ডানে পাহাড়ী
ও ঝিরি পথে ৬-৭ ঘন্টা ট্রেকিং করে সিজুক ১ ও ২ ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন ।বর্ষার সময়
সিজুক ১ ঝর্ণায় যেতে কিছু পথ কোমর থেকে বুক সমান পানির মধ্য দিয়ে যেতে হবে ।
খুব সাহসী না হলে এই ঝর্ণায় না যাওয়া ভাল।ঝর্ণায় যেতে নন্দরাম গ্রাম থেকে
অবশ্যই একজন গাইড নিবেন।
ও ঝিরি পথে ৬-৭ ঘন্টা ট্রেকিং করে সিজুক ১ ও ২ ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন ।বর্ষার সময়
সিজুক ১ ঝর্ণায় যেতে কিছু পথ কোমর থেকে বুক সমান পানির মধ্য দিয়ে যেতে হবে ।
খুব সাহসী না হলে এই ঝর্ণায় না যাওয়া ভাল।ঝর্ণায় যেতে নন্দরাম গ্রাম থেকে
অবশ্যই একজন গাইড নিবেন।
*যেভাবে যাবেনঃ
ভাড়া ৫২০ টাকা(নন এসি); ৯৫০ টাকা(এসি)।সময় অনুযায়ী
একটু কম বেশী হতে পারে।
একটু কম বেশী হতে পারে।
ঢাকা - খাগড়াছড়ি ঃ
সেন্টমার্টিন্স পরিবহন(এসি) -
আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০
খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮
আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০
খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮
ইকোনো পরিবহণ(নন এসি) - ০১৯১৭৭২০৩৯৫
এস আলম পরিবহণ(নন এসি) - ০১৯১৭৭২০৩৯৫
শ্যামলীপরিবহন- আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১
শান্তিপরিবহন-সায়দাবাদ থেকে সকাল ৮ টায় একটি গাড়ি
খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ১০ টা থেকে ১১.১৫ পর্যন্ত চারটি গাড়ি
যায়।আরামবাগ( ঢাকা ) –০১১৯০৯৯৪০০৭ ।এটি দীঘিনালা ও যায়; ভাড়া ৫৮০ টাকা।
চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি ঃ
এস আলম পরিবহণ(নন এসি) - ০১৯১৭৭২০৩৯৫
শ্যামলীপরিবহন- আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১
শান্তিপরিবহন-সায়দাবাদ থেকে সকাল ৮ টায় একটি গাড়ি
খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ১০ টা থেকে ১১.১৫ পর্যন্ত চারটি গাড়ি
যায়।আরামবাগ( ঢাকা ) –০১১৯০৯৯৪০০৭ ।এটি দীঘিনালা ও যায়; ভাড়া ৫৮০ টাকা।
চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি ঃ
BRTC এসিবাস কদমতলী(চট্টগ্রাম): ০১৬৮২৩৮৫১২৫।
খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭
যেখানে থাকবেনঃ
রুইলুই পাড়া/ সাজেক ঃ
আলো রিসোর্ট : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত।
এটিতে মোট ৬ টি রুম আছে। ডাবল রুম ৪ টি ( ২টি খাট করে) ।
যার প্রতিটির ভাড়া ১০০০ টাকা। সিংগেল রুম ২ টি ।
প্রতিটির ভাড়া ৭০০ টাকা ।
যোগাযোগ : পলাশ চাকমা - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬।
ঝাড়ভোজ পিকনিক স্পট ঃ এখানে প্রতি রুম ২২৫০ টাকা। এক রুমে ৬ জন থাকতে পারবেন।
যোগাযোগ : মাইনুল ঃ ০১৭৬৯৩০২৩৭০ / ০১৮৬৫৩৪৭৬৮৮
সাজেক রিসোর্ট : এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট।
যা সাজেকে অবস্থিত।
যার দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে।
ভি আই পি কক্ষ ১৫,০০০ টাকা।
অন্যটি ১২,০০০ টাকা। অপর দুইটি ১০,০০০ টাকা করে প্রতিটি।
খাবারের ব্যবস্থা আছে।
যোগাযোগ : খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের গিরি থেবার মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে।
যার নম্বর : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪। আরেকটি নম্বর : ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।
রুন্ময় : এটি সাজেকে অবস্থিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি
রিসোর্ট।এর নীচ তলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা।
প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন।
উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে
ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন।
এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে
অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে
চার জন থাকতে পারবেন। যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২।
খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭
যেখানে থাকবেনঃ
রুইলুই পাড়া/ সাজেক ঃ
আলো রিসোর্ট : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত।
এটিতে মোট ৬ টি রুম আছে। ডাবল রুম ৪ টি ( ২টি খাট করে) ।
যার প্রতিটির ভাড়া ১০০০ টাকা। সিংগেল রুম ২ টি ।
প্রতিটির ভাড়া ৭০০ টাকা ।
যোগাযোগ : পলাশ চাকমা - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬।
ঝাড়ভোজ পিকনিক স্পট ঃ এখানে প্রতি রুম ২২৫০ টাকা। এক রুমে ৬ জন থাকতে পারবেন।
যোগাযোগ : মাইনুল ঃ ০১৭৬৯৩০২৩৭০ / ০১৮৬৫৩৪৭৬৮৮
সাজেক রিসোর্ট : এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট।
যা সাজেকে অবস্থিত।
যার দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে।
ভি আই পি কক্ষ ১৫,০০০ টাকা।
অন্যটি ১২,০০০ টাকা। অপর দুইটি ১০,০০০ টাকা করে প্রতিটি।
খাবারের ব্যবস্থা আছে।
যোগাযোগ : খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের গিরি থেবার মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে।
যার নম্বর : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪। আরেকটি নম্বর : ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।
রুন্ময় : এটি সাজেকে অবস্থিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি
রিসোর্ট।এর নীচ তলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা।
প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন।
উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে
ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন।
এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে
অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে
চার জন থাকতে পারবেন। যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২।
ইমানুয়েল রিসোর্ট : এটিতে ৮ টি রুম আছে। সব গুলো কমন বাথ। রুম প্রতি ভাড়া
১৫০০ টাকা ও ৭০০ টাকা। ১৫০০ টাকার রুমে দুইটি ডাবল বেড আছে।
৬ জন থাকতে পারবেন। ৭০০ টাকার রুমে ২ টি বেড আছে। যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮( বিকাশ)
সারা রিসোর্ট: এটি রুইলুই পাড়ায় অবস্থিত। এর মালিক রুইলুই পাড়ার কারবারী মনা দাদা। এখাণে ৪ টি রুম আছে। তিনটি এটাচ বাথ। একটি কমন বাথ। প্রতি রুমের ভাড়া ১০০০ টাকা। ৪ টি নিলে ৩৬০০ টাকা। প্রতি রুমে একটি খাট আছে। ২ জন থাকা যাবে। রুম গুলো একটু ছোট। টিনের তৈরী। সোলার আছে। যোগাযোগ: ০১৫৫৪৫৩৪৫০৭।
১৫০০ টাকা ও ৭০০ টাকা। ১৫০০ টাকার রুমে দুইটি ডাবল বেড আছে।
৬ জন থাকতে পারবেন। ৭০০ টাকার রুমে ২ টি বেড আছে। যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮( বিকাশ)
সারা রিসোর্ট: এটি রুইলুই পাড়ায় অবস্থিত। এর মালিক রুইলুই পাড়ার কারবারী মনা দাদা। এখাণে ৪ টি রুম আছে। তিনটি এটাচ বাথ। একটি কমন বাথ। প্রতি রুমের ভাড়া ১০০০ টাকা। ৪ টি নিলে ৩৬০০ টাকা। প্রতি রুমে একটি খাট আছে। ২ জন থাকা যাবে। রুম গুলো একটু ছোট। টিনের তৈরী। সোলার আছে। যোগাযোগ: ০১৫৫৪৫৩৪৫০৭।
রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজ : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এখানে ১৫ জনের মত থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ার টেকার মইয়া লুসাই দাদা সব ব্যবস্থা করে দিবে। লক্ষন নামেও একজন আছে, প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগীতা করবে। এখানে দুইটি টয়লেট আছে। একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যটির জন্য ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। যোগাযোগ : মইয়া লুসাই - ০১৮৩৮৪৯৭৬১২। লক্ষন - ০১৮৬০১০৩৪০২।
খাগড়াছড়িঃ
খাগড়াছড়িঃ
গিরি থেবার : এটি খাগড়াছড়ি শহরের কাছে খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। এখানে সিভিল ব্যক্তিরাও থাকতে পারে। সব রুমই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। যার মধ্যে ২ টি ভি আই পি রুম, প্রতিটির ভাড়া ৩০৫০ টাকা। ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। একটি সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। যোগাযোগ : কর্পোরেল রায়হান- ০১৮৫৯০২৫৬৯৪।
পর্যটন মোটেলঃ এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেইপরবে । মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার । ভাড়াঃএসি ২১০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা । মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানো আছে । যোগাযোগঃ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫ ।
হোটেল ইকোছড়ি ইনঃ খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত । এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫ ।
হোটেল শৈল সুবর্নঃ ০৩৭১-৬১৪৩৬
হোটেল লবিয়তঃ ০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬
রঙধনু রিসোর্ট
রঙধনু রিসোর্ট
ঘুরার উপকরণ (চাঁদের গাড়ি/জীপ) : ভালভাবে সব কিছু দেখতে হলে নিজস্ব গাড়ী বা রিজার্ভ চাঁদের গাড়ীই ভরসা । চাঁদের গাড়ীর ভাড়া একটু বেশী হলেও যদিবড় গ্রুপ যান তাহলে খরচ অনেকটা কমে আসবে । চাঁদের গাড়ী দুই সাইজের হয় । ছোটটিতে ১৪ জনের মতো বসতে পারবেন । আর ছাদে বসলেতো অনেক । যদি পূর্বের অভিজ্ঞতা না থাকে তবে ছাদে উঠলে লোহার এঙ্গেল ধরে একটু সাবধানে বসবেন। শহরের শাপলা চত্তরের পাশে ও দীঘিনালা বাস ষ্ট্যান্ডে গাড়ী পাবেন ।
পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ১ দিনের জন্য ৭০০০ টাকা আর ২ দিন হলে ৯০০০ টাকা থেকে ১১০০০ টাকা নিতে পারে।
প্রয়োজনে কিছু নাম্বার ঃ
বাবু - ০১৮৬০৬৬১০৮৫
টিটু - ০১৮১৬০৩৮৯৯৭রাজ -০১৮৪৯৮৭৮৬৪৯
শিবু- ০১৮২০৭৪৬৭৪৪
সাজেক যেতে গাইডের তেমন দরকার নেই । তবুও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ।
আজম - ০১৫৫৭৩৪৬৪৪২
যেখানে খাবেনঃসিস্টেম রেস্তোরা(খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই পানখাই পাড়ায় অবস্থিত )- ০৩৭১-৬২৬৩৪অডার রেস্তরায় আমরা খেয়ে ছিলাম সাজেকের সকালে অনেক টেস্টয় খিচুরি আর বেম্বু চিকেন ।
পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ১ দিনের জন্য ৭০০০ টাকা আর ২ দিন হলে ৯০০০ টাকা থেকে ১১০০০ টাকা নিতে পারে।
প্রয়োজনে কিছু নাম্বার ঃ
বাবু - ০১৮৬০৬৬১০৮৫
টিটু - ০১৮১৬০৩৮৯৯৭রাজ -০১৮৪৯৮৭৮৬৪৯
শিবু- ০১৮২০৭৪৬৭৪৪
সাজেক যেতে গাইডের তেমন দরকার নেই । তবুও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ।
আজম - ০১৫৫৭৩৪৬৪৪২
যেখানে খাবেনঃসিস্টেম রেস্তোরা(খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই পানখাই পাড়ায় অবস্থিত )- ০৩৭১-৬২৬৩৪অডার রেস্তরায় আমরা খেয়ে ছিলাম সাজেকের সকালে অনেক টেস্টয় খিচুরি আর বেম্বু চিকেন ।
খাবার আপনার আসেপাশের রেস্তোরা বা রিসোর্টের রেস্তরায় খেয়ে নিতে পারেন।
***************কিছু জরুরী পরামর্শ***************
***************কিছু জরুরী পরামর্শ***************
*সাজেকে শুধু রবি সিমের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
*সাজেক যত বেলা, যখনই খাবেন আগে থেকে অর্ডার দিতে হবে।
*রিসোর্ট, জীপ আগে থেকে ঠিক করে যাওয়া ভালো।না হলে পছন্দমত রিসোর্ট পাবেন না।
সাজেকে ইলেকট্রিসিটি নাই তবে জেনারেটর আছে।কিন্তু সব রিসোর্টে নাও পেতে পারেন। কোন রিসোর্ট/কটেজে থাকবেন সেটার উপর নির্ভর করবে জেনারেটর সুবিধা পাবেন কিনা।এছাড়া সোলার সিস্টেম আছে। সেগুলো দিয়ে বাতি জ্বলে। তবে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়াটাই ভালো।
* সাজেক ভ্রমনে আমাদের ৪০০০ টাকার মত প্রতিজনের খরছ হয়ছিল।
আপনারা যাতে পড়তে পারেন তাই আমাদের ভ্রমণের বর্ণনা বেশী দিলাম না।
সাজেকে তোলা কিছু ছবি দিলাম।
*সাজেক যত বেলা, যখনই খাবেন আগে থেকে অর্ডার দিতে হবে।
*রিসোর্ট, জীপ আগে থেকে ঠিক করে যাওয়া ভালো।না হলে পছন্দমত রিসোর্ট পাবেন না।
সাজেকে ইলেকট্রিসিটি নাই তবে জেনারেটর আছে।কিন্তু সব রিসোর্টে নাও পেতে পারেন। কোন রিসোর্ট/কটেজে থাকবেন সেটার উপর নির্ভর করবে জেনারেটর সুবিধা পাবেন কিনা।এছাড়া সোলার সিস্টেম আছে। সেগুলো দিয়ে বাতি জ্বলে। তবে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়াটাই ভালো।
* সাজেক ভ্রমনে আমাদের ৪০০০ টাকার মত প্রতিজনের খরছ হয়ছিল।
আপনারা যাতে পড়তে পারেন তাই আমাদের ভ্রমণের বর্ণনা বেশী দিলাম না।
সাজেকে তোলা কিছু ছবি দিলাম।
No comments